অমুক তারিখে শবে বরাত!
অমুক তারিখে মাহে রমজান শুরু!
অমুক তারিখে ঈদুল ফিতর!
অমুক তারিখে ঈদুল আজহা!
হযরত মুহাম্মদ (স:) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এ খবর প্রথম কাউকে দিবে , তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে।’’
‘‘অমুক কালেমা ১০জন ফ্রেন্ডকে মেসেজে পাঠান, আগামি ৩দিনের মধ্যে একটি সু-সংবাদ পাবেন । আর না পাঠালে আগামী ১০ বছরেও কোন ভাল সংবাদ পাবেন না।" .
ভাই...?___একবার ভেবে দেখারও প্রয়োজন মনে করলেন না যে কিসের ভিত্তিতে প্রচার করছেন আর কার নামে মিথ্যা প্রচার করছেন???
যাচাই না করেই সবাই এগুলো প্রচার করেই যাচ্ছেন!!!
এই মেসেজ পাঠিয়ে কেউ যদি সুখবর না পায় তাহলে তো মানুষ ইসলামকেই দায়ী করবে। প্রকৃতপক্ষে কি ইসলামে এ ধরণের কোন সুখবর প্রচার করার ভিত্তি আছে কিনা এবং শুধুমাত্র রমজানের খবরের নামে তার আগাম তারিখ পৌছে দিলেই জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যেত তাহলে তো সালাত, সিয়াম, হজ্জ, যাকাত সহ অন্যান্য সুন্নাতের কোন প্রয়োজনই হতো না সকলে রমজানের খবর পৌছে দিয়েই জান্নাত হাসিল করে ফেলতো।।। আপনার এ ধরণের ম্যাসেজ দ্বারা হাদিসের অপমান করা হচ্ছে।।
রাসূল সাঃ এই ধরনের কোন হাদিস
এই মেসেজ পাঠিয়ে কেউ যদি সুখবর না পায় তাহলে তো মানুষ ইসলামকেই দায়ী করবে। প্রকৃতপক্ষে কি ইসলামে এ ধরণের কোন সুখবর প্রচার করার ভিত্তি আছে কিনা এবং শুধুমাত্র রমজানের খবরের নামে তার আগাম তারিখ পৌছে দিলেই জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যেত তাহলে তো সালাত, সিয়াম, হজ্জ, যাকাত সহ অন্যান্য সুন্নাতের কোন প্রয়োজনই হতো না সকলে রমজানের খবর পৌছে দিয়েই জান্নাত হাসিল করে ফেলতো।।। আপনার এ ধরণের ম্যাসেজ দ্বারা হাদিসের অপমান করা হচ্ছে।।
রাসূল সাঃ এই ধরনের কোন হাদিস
তার উম্মাতকে প্রচার করতে বলেছেন অথবা তার কোন সাহাবী প্রচার করেছেন কি কোন কালেমা ৩দিনের মধ্যে ভাল সংবাদ পাবার আশায়? কোথায় আছে এসব, কোন হাদীসগ্রন্থে পাওয়া যাবে? রেফারেন্স টা জানার কোন প্রয়োজন মনে হয়না আপনাদের???
আপনার-আমার এই অজ্ঞতার কারণে যখন কোন মুসলিম যদি কালেমা বা আল্লাহর পবিত্র নাম গুলো ১০জন কে পাঠায় এবং ৩দিনের মধ্যে সে যদি কোন সুসংবাদ না পায় তবে কালেমা বা আল্লাহর নামের প্রতি তার আস্থা বিনষ্ট হতে পারে। সে ভাবতে পারে, হয়তো আল্লাহর নাম বা কালেমার সুসংবাদ দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই... (নাউজুবিল্লাহ!)
আপনার-আমার এই অজ্ঞতার কারণে যখন কোন মুসলিম যদি কালেমা বা আল্লাহর পবিত্র নাম গুলো ১০জন কে পাঠায় এবং ৩দিনের মধ্যে সে যদি কোন সুসংবাদ না পায় তবে কালেমা বা আল্লাহর নামের প্রতি তার আস্থা বিনষ্ট হতে পারে। সে ভাবতে পারে, হয়তো আল্লাহর নাম বা কালেমার সুসংবাদ দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই... (নাউজুবিল্লাহ!)
রাসূল (সঃ) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যারোপ করল, সে তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল" তিনি আরো বলেন, "যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কোন কথা বলল যা আমি বলিনি, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নিল’’ [বুখারী হা/১১০, মুসলিম হা/৩, তিরমিযী হা/২৬৬২, আহমাদ হা/৮০৬৭] তিনি আরো বলেন, ‘‘কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে (সত্যতা যাচাই না করে) তাই প্রচার করবে’’ [মুসলিম হা/৫, আবু দাউদ হা/৪৯৯২, মিশকাত হা/১৫৬, রিয়াযুস স্বা-লিহীন হা/১৫৫৫]
Post a Comment